রাক্ষসের গল্পটা আজ
টুনিকে না বললেই নয়,সেই
আই আর কাই – শুনেছেন তো?
দেখা যাচ্ছে প্রাচীন
কালেও আমাদের
ঠাকুমা-দিদিমারা
জানতেন কাল্পনিক
সংখ্যার তত্ত্ব।
রাক্ষসী বারবার মুর্ছা
যেত আমার আই রে, আমার কাই
রে বলে । বিষের ভ্রমর
কিন্তু সবার অলক্ষ্যে
মধু ভরতে থাকে, ভরতেই
থাকে।
রাজপুত্ররা নেই।
চোরাশিকারি আর কোটালের
ছেলেকে ক্রমশঃ আর আলাদা
করে চেনা যায় না, সাপের
মুকুট, মোপেড ভরা
রাক্ষস, হাতকাটা,
কানকাটা শূরবীর, অপটু
ব্যারিকেডের
প্রতিরোধ,...কাল্পনিক,
কাল্পনিক। টুনিরা তবুও
টিভিতে সা-রে-গা-মা-পা
দেখে । বিশ্বাস করে
ওইসব কবন্ধশরীর
মিথ্যা। আলেয়ার ভরসায়
লাশ পাচার চলতেই থাকে।
হিলিয়ে ওঠে ডি এন এ,
ঘৃণার।
(তবে পুরো গল্পটা আসলে
সকলেরই জানা। শেষ অবধি
রাক্ষসের মরণ।)
বিপন্নতা
১
ইকারুস পুড়ে গেছে
সূর্যের দিকে যেতে
চেয়ে,
ডানার গলিত মোমে ঝলসেছে
দু’পায়ের পাতা।
এতটুকু ছায়া নেই।
মুঁজঘাস, রুখু লাল
মাটি
ঘাম লেগে জ্বালা করে -
ছড়েছিল বাবলা কাঁটায়।
সূর্যপিয়াসীদের কারো
কারো রেশমের ডানা
অঙ্গার হয়ে পড়ে আছে
পথে, যেতে পায়ে লাগে।
২
কি একটা জানোয়ার ঘাড়ে
চেপে থাকে আজকাল
কানের গহ্বরে তার জিভ
ঘোরে, মগজে গোঙায়,
নখের আঁচড় দেয়, অতিবড়
সাহসী মানুষও
মানুষের মুখে
চোরা-খুনির আদল খুঁজে
পায়।
ভেবে দেখি, মানুষের সাধ
করে পোষা এক মেনি
নিজে আজ বাঘ হয়ে মানুষ
খেয়েছে।
৩
অথচ গ্রীষ্ম শেষে, এমন
প্রগাঢ় কালো মেঘ
স্মৃতিকে তাড়িত করে,
কী যেন দুচোখে ছিল তার
বহুদিন ভুলে গেছি
মানুষের পাশে এসে বসা,
কার মুখ মনে পড়ে -
বন্ধু? না আমার আত্মার?
আমি তোর প্রেমিক না,
আমাকে জড়াসনে, ও রোদ
আমি কারো কেউ নই, এ
পৃথিবী আমার অচেনা।
অলংকরণঃ সিদ্ধার্থ
মুখোপাধ্যায়
ফেসবুক মন্তব্য