স্বপ্নের দেশে

তুষ্টি ভট্টাচার্য



সুখাদ্যের ঘ্রাণ আসে
লালারস তড়িৎগতিতে ছুড়ে দেয় নিজেকে
খিদের মুখ দেখতে দেখতে কারা যেন বড় হয়ে গেল ওদিকে
আমাদের খিদে চোখের চারপাশে ঝুলতে থাকে
দোল খায়, লাফ মারে আচম্বিতে।
বিশুদ্ধ পেয় জল বলে আর কিছু নেই—বলাবলি করছিল কারা
গ্লাসের গায়ে হিমকণা জমে উঠেছে
টলটলে পানীয় দেখে তৃষ্ণার কথা মনে আসে না আর।
সে ছিল গতজন্মের প্রেমিকা আমার
গতজন্মের আমি।
খিদে ও তেষ্টা ভুলে যাওয়ায় ইন্দ্রিয় জয়ের গরিমা নেই তত,
যত আছে ভুলে যেতে পারায় নিজের অতীতের ভুলচুক
ঘুম থেকে উঠে যেভাবে আপনাআপনি লোকে স্বপ্ন ভুলে যায়।


#


কে যে কখন, হাতে ধরে শিখিয়ে নেবে কিছু…
স্বপ্নরা হাতে ধরে শিখিয়েছে অনেক কিছু-
কিভাবে স্পর্শের অতীত থেকে জ্বলে ওঠে আলো
সাবলীল ভঙ্গিমায় তরঙ্গের দোলাচলে ভেসে যায় সেই মহাজগত।
দূর থেকে দেখলে স্বপ্নের এক স্পষ্ট চেহারা দেখবে
কেউ কেউ বারবার ঘুরেফিরে আসে,
তলানি লেগে থাকা চায়ের কাপে চুমুক দেয়
খেলা শেষে জার্সি বিনিময় হয় তখন দূরের ফুটবল মাঠে।
স্বপ্নরা ঘামে না, বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া তাদের পরিণতি।
সন্ধের গায়ে পা ফেলে ঘুমোতে যেতে চাওয়া স্বপ্নগুলো
একটু বেশিই খেয়ালী, কখন যে ফিরবে তারা-
তখন হয়ত ঘুম থেকে উঠে বসে আমি অন্যসময়ের কথা ভাবছি!

অলংকরণঃ সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়

ফেসবুক মন্তব্য