বনফুলেরা গা ধুয়ে
নিচ্ছে মাকাল ফলাদি
তুচ্ছ ও অপেক্ষমান করে।
অবাধ্য শিকচাকায়
সন্ধ্যে গড়ায়
মহিষবাথানে। ফেলে দেয়া
চা-নেশার ভাঁড় ভেঙে
যেতে-যেতে সতর্ক করে
আমার কর্ণকুহর। রঙিন
স্কুলফিতের মত রাস্তা
নাগাড়ে দৌড়ে চলে,
এন্তার ধানভানে এবং
বোধহয় শিবেরও গাজন গায়।
বাঁশি বাজলেই তাড়া,
যদিও বাঁশ যে
কলিকৃষ্ণের বাঁশরি হবে
তেমন কোন ভরসা কোথায়?
সুতরাং তিষ্ঠ ক্ষণকাল।
জন্ম যদি তব এই রঙ্গে,
জিরিয়ে নেয়া
বাধ্যতামূলক।
স্বপ্ন ততদিনই সত্যি
যতদিন জনৈক ভিখারি
একমুঠো চাল তোলে নিজের
ডেরায়। ততক্ষণই
স্পন্দ্যমান বীজ রুয়ে
চলা যতক্ষণ না পেটের
এবং পেটেধরা পাপেদের
আগুন ছাড়িয়ে যাচ্ছে
চুল্লির আক্রোশ।
ভাবতে-ভাবতে কখন চুল্লি
আর চুল্লুবিলাসের
সূক্ষ্ম ফাঁকের মধ্যে
ঢুকে পড়ে মাতালহাওয়ার
কানেআঙুল খেউড়। বাঁশি
তাকে বুকভরে বাজায়।
নিজেও বাজে।
শেষ হয় জিরেন। শুরু হয়
চরকার গান। সুতো ছাড়া।
বনফুলেরা তখন
ফলমন্ত্রে শরীরে
লুকিয়ে নিচ্ছে
রাত্রিবীজ...
অলংকরণঃ সিদ্ধার্থ
মুখোপাধ্যায়
ফেসবুক মন্তব্য