মধ্যরাতে বৃষ্টি এসে
জাপটে ধরার পর
বুকের বরফ কুঁচি-প্রেম
গলতে থাকে
ভোরের আজানের মতো।
যাকে আগলে রাখার
বাহানায়
গলা টিপে হত্যা করে
দেহের যাবতীয় বায়না।
প্রতিটি হত্যার সাক্ষী
বুড়ো বটগাছটি
নীরবে সমস্ত প্রমাণ
লোপাট করে,
তারপর যখনি জোনাক
জ্বালিয়ে
পাতা খসার বৃত্তান্ত
শোনায়
ঠোঁটে মেখে থাকে
সান্ত্বনার জড়িবুটি।
কার্ণিশের গায়ে
একাকীত্বকে মেলে দিলেই
টুপিয়ে পড়ে স্মৃতির
অবয়ব,
যাকে জীবন্ত রূপ দিতে
তুলিতে ডুবিয়ে নেয়
ভালবাসা,
যার আঁচড়ে মুছে যায়
শরীরের সমস্ত আমিষ
পোশাক।
আর তখনি চোখে রামধনু
এঁকে
দৃষ্টিতে বন্দী করে
বৃষ্টি-নেশা।
অলংকরণঃ অর্ঘ্য দত্ত
ফেসবুক মন্তব্য