প্রতিটি স্রোতের গায়ে
রমণের গাঢ় স্বাদ
লেগে।
চোখের অবাক ডানা কাটা
গেছে আড়াআড়ি
ক্ষোভে।
দৃশ্যের হনন শেষে
দৃশ্যাতীত
তারসপ্তকের
প্রতিটি ধ্বনির জন্য
প্রিয় কোনো শোক যদি
জাগে
হাতের খিদেয় দাও রমণের
সেই গাঢ় স্বাদ
যে স্বাদ মুখের খাঁজে
জেগে থাকে প্রতিটি
জনমে।
হে শব্দ! আড়ালে যদি
অদিতির হাঁ-মুখে
হারাও,
ফেরো কি তরঙ্গ হয়ে? না
কি ফেরা চলেনা সেভাবে?
অরণি অরণি ছুঁয়ে
আত্মকামে দপ্ ক'রে
জ্ব'লে
নাচিকেত আগুনের শিখায়
আহুতি হয়ে যায়।
কী পোড়াবে? যোষিৎ? না
পুরুষের আদি সামগান?
আগুন আগুন খাবে। যেভাবে
সাপের পেটে সাপ
অসাড় শিকার হয়ে ঢুকে
যায় স্বজনবিরোধে।
আমাদের স্রোত নেই। রমণ
ফুরিয়ে গেছে কবে।
মরণ রমণ থেকে নরম
স্নেহের দাগ খুঁটে
অতীতে তুলেছে, আর তাই
কোনো আশার শিকড়
গভীরের অজাচারে রাখেনা
খিদের অভিসার।
অথচ শিশুর প্রতি আজীবন
এত মায়া বেশি
পিলসুজে ছায়া জাগে
প্রতি ঘর দেয়ালে
দেয়ালে–
দুখানি মানুষ, দ্যাখো,
জুড়ে আছে
ব্রহ্মাণ্ডগঠনে।
অলংকরণঃ অর্ঘ্য দত্ত
ফেসবুক মন্তব্য