বলেছিলাম, আর ফিরে
তাকাবো না
তাকাইওনি
ফিরিওনি
শুধু পৃথিবীটা গোল বলে
গড়াতে গড়াতে মাঝেমধ্যে
পাশ কাটিয়ে গেছি
আমার গন্ধময় বাতাস
শুঁকে
তুমি একটি উন্মনা দ্বীপ
এঁকেছো
তোমার এত এত আশগন্ধ
পাশগন্ধ
আমি শ্বাস কাটিয়ে গেছি
তোমার হংসিনী সাদা
শাড়ির খসখস
কানে গোঁজা ওভারকোটের
পকেটে ফোন
আমার অবিন্যস্ত চুল
তোমার প্রিয় গঞ্জনা
তোমাকে শাড়ি ছাড়া আমার
অপছন্দ
এ সব তুচ্ছ খেলনা হয়ে
মিলিয়ে গেছে
আমার নাম দেখে
লেখা পড়ে
তোমার ইতিহাস হয়েছে
কুঁচকেছে ভ্রু, বাষ্প
ভেসেছে
তোমার টুকরোগুলি আমি
হঠাৎ পাতা পাল্টে পেয়ে
গিয়ে
খাতা বন্ধ করেছি
বর্তমান নিয়ে গন্ধই
নিইনি
অসহায় না থাকলে পুরুষ
অনেক বেশি নিষ্ঠুর
আমার সঙ্গে লাল বেনারসি
দেখে
পঞ্চাশ মিটার দূরে
তোমার মেঘলা হয়ে যাওয়া
মুখ
আমিই বা কি করে তা দেখতে
পেলাম?
শক্ত, বড়ো শক্ত সময়তরল
দগদগে দাগ, অলঙ্কারের
মতো পোষা
দাঁতনখ,
থুথুরক্তলালাঘাম
রক্তের মধ্যে থমকে গেল
তোমার
শরীর না, শরীরের ভেতর
অন্য কেউ
সময় পেরিয়ে যায়, তার
গায়ে দাগ দিতে নেই
শেষপর্বে রক্ত ছড়িয়ে
দোল থেকে হোলিকাদহন
বাতাসে একরঙা ফাগ, ছাই,
পোড়া মাংসগন্ধ...
মুঠি বন্ধ
চোখ সরে সরে যায়
না, কিছুতেই না
হতে হতে
হতে
হতে
ফিকে হতে থাকে রং
মিলিয়ে আসতে থাকে
ক্ষতদাগ
ক্ষতের ওপর আঙ্গুল
বোলানোর আরাম
কমে
পরে মিলিয়ে যায়
হঠাৎ একদিন দ্যাখো
তুমি
আর সর্বাঙ্গে 'দেখিনি'
লিখে নিতে ব্যস্ত হয়ে
পড়ো
হঠাৎ একদিন দেখি আমি
দেখি, বয়েস হয়ে গেছে
আবার ফিকে হয়ে যায়
ইতিমধ্যে আমার চুল সেই
অবিন্যস্তই
যদিও, চোখে চশমা এসেছে,
তুমি দ্যাখোনি
আজ ঘরবন্দী লকডাউন
মনে হচ্ছে, কেমন আছো
তুমি? বেঁচে আছো তো?
অলংকরণঃ অরিন্দম
গঙ্গোপাধ্যায়
ফেসবুক মন্তব্য