কোনও ভাষায় যখন নিজের
কথা বলা হয়ে ওঠে না, তখন
এই অ্যাস্পার্জার্স
প্রবৃত্তি গণিত নিয়ে
বসে। ছোট থেকেই সে
কথাদের গুছিয়ে বলতে
পারে না। পারে না
সামাজিক কোনও রঙিন আলোর
মাঝে পাতাতে আলাপ। এই
কোয়ারাণ্টাইন তার
আজকের না। স্নায়বিক
পাতাগুলি অবিরাম জমে
ওঠা কথাদের মত ঝরে যায়।
তাতে ভরে থাকে বাড়ি
ফেরার পথ। জৈষ্ঠ্য
বিকেলের পাণ্ডুর আলোয়
বন্ধুদের মুখ মেঠো
আলপথের মত লাগে। পাখি
শিস দিতে দিতে গাঢ
সন্ধে নামিয়ে আনে। সাথে
কালবৈশাখীর ঘনশ্যাম
স্নিগ্ধ এলোচুল। সেই
সহজাত শীতলতা যেন
স্নায়ুর গভীরে চুঁইয়ে
পড়ে। তারপর অতীন্দ্রিয়
শব্দের গতিবেগে ছড়িয়ে
যায় শিরা-উপশিরার
নিশুতি বৈদ্যুতিন
তরঙ্গে। যেটুকু
যুক্তাক্ষরহীন জলীয়
আলাপ আদরের নৌকো ভিজিয়ে
দিয়ে যায়, সেটুকু
বৃষ্টি হয়ে ওঠে
চিরন্তন।পুরানো
ফ্রেমের কত ছবি আকণ্ঠ
শব্দ হয়ে ওঠে। বুকে
একাকীত্বের গন্ধ।
দলানো আমমুকুলের
মৌতাতে লীন। তখন সেই
অ্যাস্পার্জার্স অঙ্ক
নিয়ে বসে। একটু আলো।
একটু হাওয়া। আর সিঁড়ির
পর সিঁড়ি। ভাঙা অঙ্ক।
ট্রেন-বাস-নৌকা-স্রোত...
যেন এক একটি স্মৃতিতে
নিয়ে যায়। গণিতের
রন্ধনপ্রণালী। সেখান
থেকে ভ্রমণ তুলে রাখা।
তুলে রাখা গতিজাড্যের
প্রেরণা। তার সাথে কারো
কথা নেই। অথচ
শেষরাত্তিরের অদৃশ্য
বেলিফুল। অথবা, ভেজা
আরামকেদারার সোঁদা
গন্ধ। পাড়ার একমাত্র
ভুতগ্রস্ত বাড়ি থেকে
ভেসে আসা মনকেমনের মাউথ
অর্গ্যান। এবং বন্ধ
করতে ভুলে যাওয়া কোনও
উদাসীন কলের জল। যাদের
কোনও ভাষা নেই নথিবদ্ধ।
কোন এক কম্পাঙ্কে তারা
যেন এই
অ্যাস্পার্জার্স
তৃষ্ণার অবিচ্ছেদ্য
দোসর হয়ে ওঠে। সে ভাষার
নাম গণিত। সে এই
একাকীত্বের আজন্ম
সোনালি অনুপাত।
অলংকরণঃ অরিন্দম
গঙ্গোপাধ্যায়
ফেসবুক মন্তব্য