এক
তুমি তবে সত্য নও? অপরূপ
শিখা!
এ পোড়া বেদীর জন্য,এ
ভাঙা দেবীর জন্য
ভয় জেগে ওঠে।
সত্য শুধু ভাঙন
নিত্যতা!
দুই
মৃত্যুর প্রহরে খুঁটি
শব্দকণা
পাখিরা যেমন শস্য খোঁটে
রোদ্দুরের উঠোনে।
উঠোনকে কখনও এত অদ্ভুত
লাগেনি।
তিন
দু'জন দু'প্রান্তে
থাকি,সেতু বলতে নেট
যদি সেটুকুও ভেঙে পড়ে
কোনোদিন!
চার
মৃত্যুই জীবনধর্ম
অবিচল,স্থির
চোখে চোখ চেয়ে থাকে
সভ্যতার দিকে।
পাঁচ
টুকটাক কাজ করে বেঁচে
থাকে যারা
তারা আজ ঘরবন্দী,কাজ
নেই কোনো।
পৌঁছবে কি তাদের কাছে
দু'মুঠো শাকান্ন?
ছয়
সারাদিন বিনা সাজে
এলোমেলো থাকি
মনে তো হয় না তত অসুন্দর
কিংবা অসঙ্গত!
সাত
অদ্ভুত বাতাস এক এসেছে
নগরে
বসন্তের বেদনার ক্ষতে
ভাইরাস ধরেছে ছেঁকে।
তারও তো জীবনধর্ম একই-
বাঁচবার,বাড়বার নেশা।
আট
শোনো,কোনো শেষ নেই
এভাবে বোলো না-
শেষ থেকে শুরু হবে
মানবসভ্যতা
কাচা সাদা কাপড়ের মত।
অলংকরণঃ অরিন্দম
গঙ্গোপাধ্যায়
ফেসবুক মন্তব্য