২৭.০১.২০২০
পাশের ফ্ল্যাটের মিসেস
কালেকে দেখে অদ্ভুত
লাগে। দুটো বাচ্চা, বর,
শ্বশুর, শাশুড়ি নিয়ে কী
করে যে কাটিয়ে দেয়
সারাটা দিন ভেবে পাই
না। একটা মেয়ে সকালে
এসে ঘর মুছে, বাসন মেজে
দিয়ে যায়। রান্নার লোকও
রাখে নি। ছয় জনের
রান্না তো মুখের কথা
নয়। নিজেই করে মিসেস
কালে। শাশুড়ি নাকি
সাহায্য করে। বিকেলেও
কোন কাজের লোক আসে না।
দুপুরের বাসন, বিকেলের
চা, রুটি সব নিজেই করে।
মিসেস কালে আমার চেয়ে
বয়সে ছোটই হবে। বয়স
মেরেকেটে যদি বত্রিশ
তেত্রিশ হয়। আমার তো এই
বছর জানুয়ারিতে
একচল্লিশ হল। মনে তো হয়
স্বামীর রোজগার তেমন
নয়। তাই সব কাজ নিজের
কাঁধে। কিন্তু জিজ্ঞেস
করাতে উত্তরটি দিয়েছিল
গেরামভারি। শ্বশুর,
শাশুড়ি নাকি খুব কষ্ট
করে স্বামীকে মানুষ
করেছে। তাই তাদের রেঁধে
বেড়ে খাওয়ানোতে মিসেস
কালের স্বর্গসুখ। কিছু
তো একটা লুকোয় মহিলা।
আজকের দিনে এমন অসম্ভব।
নিজের কেরিয়ার না করে
এসব ফালতু কাজ। নির্ঘাত
তেমন প্রফেশানাল
পড়াশুনো নেই।
আরও যে দুটো ফ্ল্যাট
আছে এই ফ্লোরে, সেই
মহিলাদের সঙ্গে তেমন
কথা হয় না। তারা চাকরি
করে, ছুটির দিনও দেখতে
পাই না। মিসেস কালের
সঙ্গেও কোন বন্ধুত্ব
নেই। সকালবেলা শুধু
গারবেজ রাখতে বেরোলে
টুকটাক যেটুকু জানা
যায়।
২৯.০১.২০২০
তিন মাস হল আমরা পুণের
এই ভাড়ার ফ্ল্যাটে
এসেছি। কিন্তু কেন
এসেছি তা কাউকে বলি
না। নিউ ইয়র্কে থাকতাম
আমরা বছর ছয়েক। আমার
বর কিন্নরের সে
চাকরিটা আর ছিল না। সেই
মুহূর্তে পুণের এই
চাকরির অফারটা আসায়
বেঁচে গেছি। মাইনে
পত্তরও ভাল। কিন্তু
মিসেস কালেকে বলেছি,
আমার ছেলেকে দেশে মানুষ
করব বলে ফিরে এসেছি। সে
বিশ্বাসও করেছে।
আমার ছেলের সাত বছর
বয়স। ছেলেকে নিয়ে আর
যেন পেরে উঠি না।
স্কুলের বাসে তুলে
দেওয়া, নিয়ে আসা, গিটার,
ব্যাডমিন্টন ক্লাসে
নিয়ে যাওয়ার ঝক্কি
লেগেই থাকে। সকালে শীলা
এসে ডাস্টিং, ঝাড়ুপোছা
করে, বাসন মেজে, সবজি
কেটে, আটা মেখে দিয়ে
যায়। আমি রান্না করি,
রুটি করি। শীলা বিকেলেও
আসে, বিকেলের রুটি করে,
বাসন মাজে। এই সুখ নিউ
ইয়র্কে ছিল না। নিজেকেই
করতে হত সব কাজ।
একটা চাকরি পেয়েছি।
ফেব্রুয়ারির পাঁচ
তারিখে জয়েনিং। এই বয়সে
পাবো আশা করি নি। একটা
ট্যুরিজম কম্পানির
ওয়েলনেস রিসর্ট দেখতে
হবে। আপাততঃ সকাল নটা
থেকে থেকে চারটে অবধি
অফিসে থাকতে হবে। বাকি
কাজ বাড়ি ফিরে করা
যাবে। এক বছর পর ভাল
হাইক দেবে বলেছে। মিসেস
কালেকে বলব চাকরি
পেয়েছি।
০৫.০২.২০২০
শীলাকে বলেছি, বিকেলে
এসে রান্না করবে। সকালে
ঐ রান্না দিয়েই চালাব।
ছেলেকেও দিয়ে আসা, নিয়ে
আসা করবে শীলা।
গাছগুলোতে জলও দিয়ে
দেবে শীলা। মাইনে
বাড়িয়ে দেব অনেকটাই।
শীলার কোন অভিযোগ থাকবে
না।
সকালে উঠেই টিভিতে
খবর শোনার অভ্যেসটা
ছাড়তে হবে এবার। খবর
মানে তো এখন একটাই, নভেল
করোনা ভাইরাস, আর তাতে
কত লোক মরছে। সকালে
উঠেই এই মরার খবর শুনতে
ভাল লাগে না। ছেলেকে
স্কুল বাসের জন্য তৈরি
করতে করতে খবর শোনা হয়ে
যায়। তা বলে রোজ সকালে
উঠে এই অসুখ, আর মরার
খবরে বিরক্তি লাগছে। কী
এক কোথাকার ভাইরাস! সে
নাকি সব ওলট পালট করে
দেবে। তাছাড়া এখন আমার
নিজের অফিস বেরোনোর
তাড়াও থাকছে। এসব খবরে
অকারণ উৎকণ্ঠা হবে।
মিসেস কালের শাশুড়ি যে
বাড়ির বাইরে বেরোন,
জানা ছিল না। প্রথমদিন
অফিসে যাওয়ার জন্য
লিফটে উঠেছি, তিনিও
লিফটে উঠলেন। মিসেস
কালের নাম জানলাম ওঁর
মুখেই। দময়ন্তী কালে।
দময়ন্তীর শাশুড়ি
হিসেবে নিজের পরিচয়
দিলেন। বৌমাকে নিয়ে বেশ
আদিখ্যেতা আছে মহিলার।
লিফট থেকে বেরিয়ে
হাঁটতে হাঁটতে বৌমার
গুণ কীর্তন করে গেলেন।
প্রথমদিন অফিসে
যাচ্ছি। যথেষ্ট
নার্ভাস। এসব কথা ভাল
লাগছিল না। বয়স্ক মহিলা
বলে কিছু বলতে পারছিলাম
না।
২১.০২.২০২০
প্রথম দুই সপ্তাহ বেশ
ভালই কাটল অফিসে।
নার্ভাস হবার মত কাজ
নয়। বেশ এনজয় করছি।
কিন্তু এই করোনা
ভাইরাস। মারণ ভাইরাস
একটা। খবর শোনা বন্ধ
করে দিলেও তো খবর হওয়া
বন্ধ হয় না।
সারা পৃথিবীর লোক
অসুস্থ হচ্ছে, মরছে। এই
পরিস্থিতিতে
ট্যুরিজমের ওপর প্রভাব
পড়বে বলাই বাহুল্য।
তৃতীয় সপ্তাহেই আমাকে
বলে দেওয়া হল বাড়িতে
বসে কাজ করার জন্য।
ব্যবসা যেহেতু কম
হচ্ছে, তাই অফিসে এসে
কাজ করার মত তেমন কাজ
এখন নেই। পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হলে কম্পানি
ডেকে নেবে। তাছাড়া
সরকার থেকে অফিস বন্ধ
করার নির্দেশও আসতে
পারে।
০৩.০৩.২০২০
এক মাসও কাটল না। বেশ
মুষড়ে পড়েছি। আদৌ কী
পরে আর ডাকবে আমাকে?
ওয়েলনেস দেখাশোনার
জন্য লোকের দরকার
থাকবে? ওয়ার্ক ফ্রম
হোমে মার্চ মাসের তিন
তারিখ পর্যন্ত যেটুকু
কাজ দিল, তা করতে বড় জোর
ঘণ্টা খানেক সময় লাগে।
ফেব্রুয়ারির মাইনে দিল
অনলাইন। মার্চ মাস থেকে
মাইনে দিতে পারবে না
কম্পানি। ব্যবসাই নেই।
অবস্থা যেদিকে এগোচ্ছে,
তাতে আগামী তিন মাসেও
ডাকবে বলে তো মনে হয়
না। কিন্নরের চাকরিও
মাত্র তিন মাসের
পুরনো। আইটি
কনসালট্যান্সি, সে
চাকরিরই বা কী হবে কে
জানে!
এদিকে শীলাকে যে বাড়তি
মাইনের কথা বলে রেখেছি,
তার কী হবে? আমি বাড়িতে
থাকলে তো আর বাড়তি
কাজের প্রয়োজন হবে না।
শীলা অন্য একটা
ফ্ল্যাটে কাজ পেয়েছিল।
আমি বারণ করেছিলাম বলেই
নেয় নি সেই কাজ।
পুণের এই ফ্ল্যাট ভাড়া
নেওয়া থেকেই ঘর
সাজানোতে অনেক পয়সা খরচ
করেছিলাম। কিন্নরের
আপত্তি টেঁকে নি। ছেলে
যে ইনটারন্যাশানাল
স্কুলে পড়ছে, সে স্কুলে
যে পড়াশুনো খুব ভাল
হচ্ছে এমন নয়। আমার
ইচ্ছে ছিল বলেই
দিয়েছিলাম। খরচ
সাপেক্ষ স্কুল।
০৯.০৩.২০২০
যে টাওয়ারে আমি থাকি
তাতে আরও তিরিশটা
পরিবার থাকে। ওদের একটা
হোয়াটস আপ গ্রুপ আছে।
দময়ন্তীর শাশুড়ি এই
সেদিন আমাকে গ্রুপটাতে
অ্যাড করেছেন। নানা
বিষয়ে কথা হয় সেখানে,
সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
সেখানেই জানতে পারলাম
কাজের মেয়েদের কাজে
আসতে মানা করতে হবে। লক
ডাউন শুধু নয়, কার্ফু
জারি হবে সবাইকে
গৃহবন্দি করার জন্য।
কাজের মেয়েদের আগাম
মাইনে দিয়ে ছুটি দিতে
অনুরোধ করা হয়েছে।
গ্রুপে অনুরোধটি করেছে
দময়ন্তী।
নিজে সারাদিন কলুর
বলদের মত খেটে যায় বলে
ভাবে কারোর কোন সমস্যা
হবার কথা নয়। আরে বাবা,
আমার কাজের মেয়ে কোথায়
থাকে, কোন কোন ফ্ল্যাটে
কাজ করে আমি তো জানি। সে
এসে কাজ করলে করোনা কী
করে ছড়াবে? কিন্তু সবাই
সমর্থন করেছে দময়ন্তীর
প্রস্তাব। মাসের দশ
তারিখেই গোটা মাসের
মাইনে দিয়ে শীলাকে ছুটি
দিয়ে দিতে হবে। শীলার
মাইনেটা এ মাসে গায়ে
লাগবে বড়। মাইনেটা
অনেকটা বেশি দেব
বলেছিলাম। নতুন কাজও
নেয় নি। ফলে আমাকেই
দিতে হবে।
মিসেস কালের ওপর ভয়ানক
রাগ হচ্ছে। এতো
মাতব্বরি কিসের তোর? আর
বাকিরা কেউ কিচ্ছুই তো
বলছে না।
আমরা থাকি পাঁচ তলায়।
চার তলায় এক বয়স্ক লোক
এসেছে নাকি ইউএস থেকে।
ছেলে, বউ, নাতি এখানে
থাকে। ছেলের কাছেই
এসেছে। খবরটা গ্রুপে
দিল দময়ন্তী। চোদ্দ দিন
কোয়ারান্টাইন থাকার
কথাও বলল পরিবারটিকে।
জরুরি জিনিসপত্র, খাবার
দাবার কীভাবে পৌঁছনো
হবে সেসব নিয়েও আলোচনা
করল। পুণে
মিউনিসিপ্যাল
কর্পোরেশানে দময়ন্তীই
খবর দেবে বলল। বাড়াবাড়ি
রকমের ওস্তাদি।
দময়ন্তীর শাশুড়ি ওর সব
মেসেজের শেষেই
‘করেক্ট’ লিখেই
চলেছে।
০৯.০৩.২০২০
ঘুম থেকে উঠতেই ইচ্ছে
করছে না। উঠলেই কাজের
পাহাড়। শীলা আর আসবে
না। চূড়ান্ত বিরক্তি
দিয়ে দিন শুরু হল। এই
বিরক্তি কাটবেও না।
সঙ্গে শীলাকে অতগুলো
বাড়তি টাকা দেওয়ার শোক।
মিসেস কালে ওস্তাদি না
মারলে সবাই কাজে আসত,
শীলাও।
করোনায় আক্রান্ত এবং
মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই
চলেছে। নিউ ইয়র্কে
থাকলেও সেফ থাকতাম না
আমরা। এর চেয়ে খারাপই
থাকতাম হয়ত। কিন্নর
সারাদিন ল্যাপটপে বসে
আছে। সকালে কারোরই ঘুম
থেকে উঠতে ইচ্ছে করছে
না। উঠলেই বিরক্তির
সঙ্গে উদ্বেগ। আমার
নতুন চাকরিটা না থাকার
হতাশাও। তবে রান্না
করছি বেসিক, পেট ভরার
মত। সময় বেশি লাগছে
না।
অফিসের কাজ আসা বন্ধ
হল। প্রথম কদিন হিমসিম
খাচ্ছিলাম। ধীরে ধীরে
ধাতস্থ হচ্ছি।
কিন্নরের চোখেমুখ
থমথমে। ঝিমিয়ে পড়ছে
বেলা বাড়লে।
১২.০৩.২০২০
কিন্নরের ভেতর
অস্বস্তি চলছে, চাকরি
থাকবে কিনা সে চিন্তায়
খাওয়াদাওয়াও করছে কম,
ঘুমোচ্ছে না তেমন। আমার
চাকরি থাকলেও তো আর সে
টাকায় সংসার চলত না।
তবু ওকে সারাদিন কাছে
পেয়ে ভাল লাগছে খুব।
এখন এসব কথা বলার সময়
না। বললেও যে কিন্নরের
ভাল লাগবে এমন নয়।
এভাবে তো থাকা হয় নি
আমাদের। ছেলেকেও সময়
দিতে পারছে কিন্নর।
করোনা ভাইরাসের
আতঙ্কের মধ্যেও এতো বড়
পাওনা।
কোন বাড়িতেই কেউ কাজ
করতে আসছে না।
সোসাইটিতে কাউকেই
ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
ওয়াচ ম্যান আর হাউস
কিপিঙের মহিলাদের জন্য
সাবান, স্যানিটাইজারের
ব্যবস্থা করেছে
দময়ন্তী। পালা করে ওদের
চা, টুকটাক খাবার, ফলের
ব্যবস্থা করব আমরা। কে
কবে দায়িত্ব নেবে তা
ঠিক করে দিয়েছে
দময়ন্তী।
মিউনিসিপ্যাল
কর্পোরেশান থেকে এসে
সোসাইটির চারপাশ,
প্রতিটা টাওয়ার, লিফট
স্যানিটাইজ করে দিয়ে
যাচ্ছে। এসবের তদারকিও
করছে দময়ন্তী। এখন আর
ওকে আমার মাতব্বর,
ওস্তাদ ইত্যাদি বলতে
ইচ্ছে করছে না।
১৫.০৩.২০২০
দময়ন্তীকে জানিয়ে
আনাজপাতি কিনতে
বেরিয়েছি। রাস্তাটা
পলাশ বিছানো। কিন্নর
পলাশ দেখলেই বলত,
“বিলোল পলাশ, বিলোবে
প্রেম”। না, এই পলাশ
বিলোল নয়। এই পলাশ কোন
ফিল গুড অনুভূতি দেয়
না। শুনশান রাস্তাটা
দেখে ভয় পেয়েছি খুব।
রাস্তাটায় রঙ ধরাতে
পারে নি পলাশ। এমনই খাঁ
খাঁ করছে কী ভবিষ্যৎ?
সবাই সবাইকে দূরে ঠেলে
দিয়ে কি এমনই খাঁ খাঁ
করবে বুক? অনিশ্চয়তা,
অমঙ্গল গিলে খাবে
আমাদের?
খড়ের গাদায় পিন খোঁজার
মত করে পজিটিভিটি
খুঁজতে হবে। অনেক কিছু
রান্না করার মত সবজি,
মাছ ইত্যাদি নেই। খিদেও
তো তেমন নেই। কী হবে
রান্না করে একগাদা।
মুভি একটানা দেখতে
পারছি না।
টেরাসের গাছগুলোতে ফুল
ফুটছে খুব। ওরা ভয়ে
শুকিয়ে যায় নি।
গাছগুলোতে জল দিতে গিয়ে
দময়ন্তীদের ব্যালকনির
দিকে চোখ গেল। দময়ন্তীও
গাছে জল দিচ্ছে। ওর
শাশুড়ি কাপড় মেলছে।
নিজেরা কথা বলছে,
হাসছে। আমাকে দেখতে
পেয়ে হাত নাড়ল দুজনেই।
১৮.০৩.২০২০
আমার ভেতরে
সুপিরিওরিটি
কমপ্লেক্স কাজ করত
মিসেস কালেকে দেখে। অতি
সাদামাটা, স্বামী সংসার
মার্কা একটা লাইফ
স্টাইল মিসেস কালের।
সেখানে নিউ ইয়র্ক থেকে
ফিরে আমি বেশ চাকরিও
পেয়ে গেলাম। বিশাল কিছু
না হলেও হোম মেকার
মিসেস কালের চেয়ে ঢের
ভাল। কোন কারণ নেই, তবু
আমার একটা অহঙ্কার ভাব
ছিল। আর ঐ হোয়াটস আপ
গ্রুপে ওর
সাজেশানগুলোও অসহ্য
লাগত।
আমি তো গৃহবন্দি। সব
নিয়ম মেনে চলছি। করোনার
কোন লক্ষণ নেই আমার।
তবু ভাইরাসটা কত কী
মেরে ফেলেছে আমার ভেতর!
জাগরূকও করেছে কিছু
হয়ত।
প্রথম যেদিন চাকরিতে
যাচ্ছিলাম, সেদিন লিফটে
দময়ন্তীর শাশুড়ি ওর
সম্পর্কে যেগুলো
বলেছিল, সেগুলো এতদিন
মনে আসে নি। সেই
মুহূর্তে গুরুত্বও দিই
নি তেমন। আজ শাশুড়ি
বউকে একসঙ্গে দেখে মনে
পড়ল। দময়ন্তীরাও নিউ
ইয়র্কেই থাকত। দময়ন্তী
আর ওর বর ওখানের কলেজে
পড়াত। পাবলিক হেলথের
ওপর অনেক কাজ করত।
দময়ন্তীর শ্বশুরের
ক্যান্সার ধরা পড়ায় মাস
চারেক হল, ফিরে এসেছে
ওরা। ওর বর পুণে
ইউনিভার্সিটিতে পড়ায়।
দময়ন্তী আপাততঃ বাড়ি
থেকেই গবেষণার কাজ করে,
বাড়ির কাজও করে।
অলংকরণঃ কল্লোল রায়
ফেসবুক মন্তব্য