শংখচিল
বেশি দেরী নেই
আর একধাপ উঠলেই
আমার দেশ
মৃত্যু উপত্যকা
ঘাম-লালা সব শুকিয়ে
গেছে
থেমে গেছে পিটুইটারির
পেন্ডুলাম
আশার কথা ওজোন স্তরের
ফুটোগুলো
একটু একটু করে ভরাট
হচ্ছে
আবার শ্বাস নিতে পারছি
সচল হচ্ছে ফুসফুস
বাড়ছে রক্ত সঞ্চালন
সকালের আলোয় কচি
কলাপাতায়
শুরু হয়েছে
সালোকসংশ্লেষ
মৃত্যু মিছিলে নেই কোন
শ্লোগান
শুনশান কবরস্থান ও
শ্মশানঘাট
ধ্যানস্থ পৃথিবীর কানে
বাজে না
ধ্যানভঙ্গকারী
অপ্সরার নূপুরের ধ্বনি
গাঢ় নীল আকাশের গায়ে
শংখচিল এঁকে দেয় আলপনা
।
সরগম
বন্ধ দরজার ভেতর যে
সরগম
জানালার ফাঁকে ইমন
কল্যাণ
জ্যামিতিক দূরত্ব ভেঙে
জ্যোৎস্না ফুটেছে
মাটির প্রদীপে
সামাজিক দূরত্বের
প্রভাব কেটে
খোলা আকাশের নিচে একদিন
আমরা সবাই কাছাকাছি
ছুঁয়ে যাবো
অন্তরের
অন্ধকারাচ্ছন্ন
প্রকোষ্ঠগুলি
শাল-মহুয়ার জঙ্গলে
পূর্ণিমার চাঁদ
বন মোরগের ছুটোছুটি
স্বাধীনতাপ্রিয়
খরগোশের সবুজঘাসে
লুটোপুটি
ধামসা-মাদলে আবার জেগে
উঠবে
আদিবাসী গ্রাম
উৎসবের দিনে শিবু
সোরেনও
তীরধনুক হাতে ঢুকে যাবে
অরণ্যের আরও গভীরে।
প্ররোচনা
যা দেখি সবটাই সুন্দর
নয়
যা বলি পুরোটাই কি
সত্যি!
দিন-রাত্রির পুরোটা
জুড়ে আত্মকাহিনী
উগ্রবাদী বিপ্লবীরা
বাক্ বদলে ব্যস্ত
পুরুষাঙ্গে পত্ পত্ করে
ওড়ে লাল ধ্বজা
ময়ূর পালক মাথায় গেঁথে
সবাই সাজে কৃষ্ণ
আর বাঁশির সুর শুনে ঘর
ছেড়ে বেরিয়ে আসে রাধা
জোয়ারের জল থিতিয়ে এলে
ফুঁয়ে আর সুর ওঠে না
যেখানকার জল সেখানেই
গড়িয়ে যায়
হিম উপত্যকায় ডুবে গেছে
খেত, খেতের ফসল
বেড়ে গেছে শ্বেত
ভল্লুকের আনাগোনা
শ্বাস বন্ধ করে পড়ে
থাকি বরফের বিছানায়।
অলংকরণঃ অরিন্দম
গঙ্গোপাধ্যায়
ফেসবুক মন্তব্য