বাঁধন
নদীরা কথা বলে, অলৌকিক
প্রান্তর,
মেঠো দুধ কুয়াশার ভিতর
নদীর জন্ম হয়,
নদীরা বড় হয়, পালকি চড়ে,
বুকের পাঁজরে লেগে থাকে
জল,
লক্ষীপেঁচারা কুড়িয়ে
নেয় মেঠো ইঁদুর।
মনে পড়ে প্রসাদের
থালা।
পালকির ভিতর থেকে নদীরা
চিঠি লেখে
"শ্রীচরনেষু বাবা,
নিয়ে যাবে
এবার আমায়? রাতগুলো বড়
বেশী কালো মনে হয়।"
শষ্যক্ষেত
তুমি যখন আসবে
তখন ভালোবাসার হরিণ
এসে নেমেছে
শষ্যক্ষেতে।
আমি তখন রাতের সেই মাঠ,
চাঁদের আলোয় বসে আছি
বানের সঙ্কেতে।
হারিয়ে গেছি কবেই
দাঁড়িয়ে এখন বালুতটে।
শুধু কয়েকটা ফুল পড়ে
আছে
রাতের শষ্যক্ষেতে।
অসুখ
এখন পথ থেকে সরে আসি।
কিছু সময় পার হয়ে যাই ঘন
সন্ধে গায়ে মেখে।
মনে আছে প্রেম? এ শহর
জলপ্রপাত চিনিয়েছিলো
আমাদের!
এইসব অবিরল শ্রাবণ চেপে
রেখেছি
ক্রমশ ফুরাতে ফুরাতে আর
সন্ধে নেমেছে।
গভীর অসুখ এক ছড়িয়েছে
সমস্ত পথঘাট জুড়ে।
মনে আছে প্রেম? আমাদের
অসুখগুলো নিয়নের আলোর
মতো পাশাপাশি রাতের
শহরে কোলবালিশ!
তুমি জানবে না সহজ
গিটার, জলের ওপরে
এখনো কিছু পুরনো অসুখ
ময়ূরপঙ্খী আর
এ শহর প্রতারক এক। কিছু
নেই, শুধু কিছু
রক্তাক্ত আবেগ
জানলার কাচে ডানা
ঝাপটাতে ঝাপটাতে খসে
পড়ে নিচে।
ওখানে তোমার মুখ আমি
রোজ অনিবার্য দেখি।
ফেসবুক মন্তব্য